কালের কণ্ঠ :
সম্প্রতি ওষুধ কম্পানির দুজন প্রতিনিধিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের রুমে যাবার আপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের প্রকাশ্যে শার্ট খুলে সাজা দেন- কান ধরে উঠবস করান। আর এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই কাজকে ঘৃণিত হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুজনের শাস্তি চাচ্ছেন।
আব্দুল কুদ্দুস তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘এই দুজন চোর কিংবা ডাকাত নয়, ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের রুমে যাবার আপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট তাদের প্রকাশ্যে শার্ট খুলে সাজা দেন- কান ধরে উঠবস করান। আচ্ছা এইসব ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবদের ট্রেনিংয়ের সময় আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে কি কিছু শেখানো হয় না? নাকি এরা মনে করেন এদেরই শুধু মর্যাদা থাকা দরকার! ক্ষমতা প্রকাশিত হয় মানব সম্পর্কের ভেতর দিয়ে, আর তা দিয়ে অনুভব করা যায় ক্ষমতার কাঠামোটিকে।’
আরিফুজ্জামান তুহিন লিখেছেন, ‘নিচের ছবিটি সত্যিই পীড়া দিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে গিয়ে এ রকম ভয়ংকর নিপীড়নের স্বীকার হওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুই কর্মজীবীর একটি ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেখানে ছেলে মেয়ে স্ত্রী মা বাবা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন পরিবার রয়েছে। এ রকম ভয়ংকর নিগ্রহের স্বীকার যদি ওই দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হতেন? তাদের দোষটা কোথায়? বাংলাদেশের কোন আইনে আছে যে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ডাক্তার ভিজিট করতে পারবে না?’
রেণুবর্ণা অধিকারী নামে অপর একজন লেখেন, ‘আমার মনে হয় নানা অক্যাত-কুখ্যাত ওষুধও এসব প্রধিনিধিদের মাধ্যমে ডাক্তাররা রোগীদের দেয় শুধু তাদের ব্যাগ ভরার জন্য। এই অপরাধের জন্য ডাক্তাররাও সমান দোষী।’
পাঠকের মতামত